শার্শায় কৃষকের বাড়িতে বোমা হামলার প্রধান অভিযুক্ত তোতা গ্রেপ্তার

শার্শায় কৃষকের বাড়িতে বোমা হামলার প্রধান অভিযুক্ত তোতা গ্রেপ্তার, খবরপত্র ছবি:
শার্শায় কৃষকের বাড়িতে বোমা হামলার প্রধান অভিযুক্ত তোতা গ্রেপ্তার, খবরপত্র ছবি:

 যশোরের শার্শা উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে কৃষকের বাড়িতে বোমা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম তোতাকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ জুলাই) গভীর রাতে শার্শা থানার একটি বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।

আটক শহিদুল ইসলাম তোতা শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বহিষ্কৃত আর্মড পুলিশ সদস্য। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, জমি দখল, মারধর, আগুন দিয়ে ঘর পুড়িয়ে দেওয়া, বোমা হামলা এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তোতা ও তার ভাই আসাদুলের নেতৃত্বে গঠিত একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ভয়ঙ্কর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। এই দলে রয়েছে আরও অন্তত ১০-১৫ জন সদস্য, যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অপরাধের বিস্তর অভিযোগ। তাদের হাতে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো রামদা ও হকস্টিক থাকায় কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। যারা প্রতিবাদ করে, তাদের ধরে নিয়ে নির্জন স্থানে বর্বর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ।

গত ২৩ জুলাই শার্শা থানায় তোতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। অভিযোগে বলা হয়, চাঁদা না দেওয়ায় কৃষকের বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম তোতাকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম জানান, তোতা ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী তৎপরতা চলছিল। লিখিত অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তোতাকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তোতা ও তার ভাইসহ আরও আটজনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বহিষ্কার করা হয়। তৎকালীন যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

তারা অভিযোগ করেন, শার্শার এক প্রভাবশালী নেতার মদদে বহিষ্কৃত এসব সন্ত্রাসীরা এখনো সক্রিয়। দ্রুত দলীয় তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি।

এলাকার খবর

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত