গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকাভিত্তিক একটি জাতীয় দৈনিকে বিএনপি’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে ঘিরে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, “কথিত এনায়েত নামের কোনো ব্যক্তিকে আমি চিনি না কিংবা জানি না। তার সঙ্গে আমার কোনোদিন সাক্ষাৎ হয়নি বা কোনো কথোপকথনও হয়নি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর অর্জিত রাজনৈতিক সম্মান ও সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করছে। এর মাধ্যমে তাঁকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও জানান, বিগত ১৭ বছরে দলের দুঃসময়ে তিনি সর্বদা বিএনপিকে সুসংগঠিত রাখার চেষ্টা করেছেন এবং কখনো দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেননি। বর্তমান সরকারের আমলে তিনি একাধিক মামলার আসামি হয়ে কারাভোগ করেছেন এবং বারবার হামলার শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি হামলা-মামলার শিকার ও নির্যাতিত দলের নেতাকর্মীদের নিয়মিত খোঁজখবর নিয়েছেন এবং জামিনে মুক্ত করতে সহযোগিতা করেছেন।
তৃপ্তি বলেন, তাঁর জনপ্রিয়তা ও সুনামে ঈর্ষান্বিত একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ধরনের মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি শার্শাবাসীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
শার্শা উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে মফিকুল হাসান তৃপ্তি তারেক রহমানের প্রত্যেকটি নির্দেশনা একনিষ্ঠভাবে পালন করছেন। বিশেষ করে তারেক রহমান যেমন বলেছেন— দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হাওর-বাঁওড় দখল কিংবা সালিশ বিচার থেকে বিরত থাকতে, তৃপ্তি ভাই তেমনভাবেই তা অনুসরণ করছেন। শেখ হাসিনা পলায়ের পর থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ শোনা যায়নি।
নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, “নিঃসন্দেহে তিনি একজন ভালো মানুষ। শার্শাবাসীর জন্য আমরা তাকে মঙ্গলকর মনে করি। রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করার লক্ষ্যে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”