বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও যশোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি।
আজ ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) দুপুরে উলাশী ইউনিয়নের গিলাপুল গ্রামে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শার্শা উপজেলা সদস্য সচিব মো. ইমদাদুল হক ইমদাদ, শার্শা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন বাবলু।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান, বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন, কদর আলী মেম্বার, আব্দুল জলিল, আলমগীর হোসেন টিপু, বিএনপি নেতা মাস্টার বাবলুর রহমান, আলী হোসেন, যুবদল নেতা হাবিব, জিয়া, সবুর, সাইফুল, রিয়াল, আসাদ, রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহজালাল আগুন, ছাত্রদল নেতা শাওন, বিপ্লব হোসেন ও সুমন হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময়কালে মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সুখী, ন্যায়ভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এই দেশ সকল ধর্ম, জাতি ও বর্ণের মানুষের এখানে প্রত্যেকের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিবাদী নির্যাতনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিএনপি একা ফেলে রাখবে না। ন্যায় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জনগণই হবে আমাদের শক্তি।”
এ সময় তিনি শার্শা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি সোলোমান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেন এবং স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেন।
পরে তিনি উলাশী গিলাপুল ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অসুস্থ তৈয়ব আলীর বাড়িতে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। একই গ্রামের হিন্দু ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বাড়িতেও গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেন এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি লোকসমাজ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মনিরের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাংবাদিক মনিরকে অন্যায়ভাবে পুলিশ জেল হেফাজতে নেওয়ায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “গণতন্ত্রে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা মানে জনগণের কণ্ঠরোধ করা।