যশোর জেলার শার্শা-বেনাপোল সীমান্ত এক সময় পরিচিত ছিল আতঙ্কের জনপদ হিসেবে। চোরাচালান, হত্যা, গুম, দলীয় কোন্দল ও নাশকতা—সব মিলিয়ে এই জনপদ ছিল অস্থিরতার প্রতীক। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই সীমান্ত এলাকায় সৃষ্টি হয়েছিল ত্রাসের রাজনীতি। তখন অসংখ্য নেতা-কর্মী নিহত বা নিখোঁজ হন। এলাকাবাসীর দাবি, এসব ঘটনার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন সে সময়কার সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর শার্শা উপজেলার সাধারণ মানুষ যেন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। রাজনৈতিক সহিংসতা ও দমননীতিতে ক্লান্ত এই জনপদ এখন চায় এক সৎ, আদর্শ ও সন্ত্রাসবিরোধী নেতৃত্ব—যিনি শান্তি ও উন্নয়নের ধারাকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন।
জনগণের পছন্দের নাম: মফিকুল হাসান তৃপ্তি
এলাকার দলমত নির্বিশেষে জনগণের মুখে এখন উচ্চারিত হচ্ছে একটাই নাম—সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি।
তার সম্পর্কে স্থানীয়দের মত, “তৃপ্তি সাহেব একজন বিনয়ী, উন্নয়নমনস্ক ও সৎ রাজনীতিবিদ। তার বিরুদ্ধে কোনো সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অসদাচরণের অভিযোগ শোনা যায়নি।”
এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, শার্শার অধিকাংশ সাধারণ মানুষ মনে করেন, বর্তমান রাজনীতিবিদদের তুলনায় তৃপ্তি সাহেবের মধ্যে রয়েছে সততা, আত্মবিশ্বাস, যোগাযোগ দক্ষতা, সিদ্ধান্তগ্রহণের সক্ষমতা ও জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ।
তার ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং জনমানুষের চাহিদা বোঝার ক্ষমতা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ফ্যাসিস্ট রাজনীতির কবলে পড়ে শার্শা দীর্ঘদিন অন্ধকারে ডুবে ছিল। বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা, পেট্রোল বোমা—সবকিছুই ছিল ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।
বর্তমান রাজনৈতিক ধারায় যদি সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধে পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে সহিংসতা আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
তৃপ্তির দৃষ্টিভঙ্গি: “সন্ত্রাসরোধে দরকার সুস্থ রাজনীতি ও গণতন্ত্র”সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন—“শুধু শার্শা নয়, গোটা বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমন করতে হলে সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা করতে হবে। রাজনৈতিক নেতা ও জনগণকে রক্ষা করতে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র রক্ষাই সন্ত্রাসরোধের একমাত্র পথ।”
তিনি আরও বলেন— “অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচার ও লোভ যখন সমাজে বাড়ে, তখন নিয়মনীতি হারিয়ে যায়। সমাজে দেখা দেয় নৈরাজ্য ও হতাশা। সুশাসনের অভাবে বাড়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নিপীড়ন। সুশাসন না থাকলে রাষ্ট্রীয় জীবনে এ ধরনের উপসর্গ প্রবল হয়।”
তৃপ্তি আরও বলেন— “দেশে নির্বাচন হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, ক্ষমতা দখলের জন্য নয়। কিন্তু আমরা তার উল্টো চিত্র দেখি। আমি ব্যক্তিগতভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। জনগণ যাকে বেছে নেবে, আমি তাকেই সমর্থন করব। কোনো অন্যায়, জুলুম বা মামলা-হামলার মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাই না।”
তিনি বলেন,“আমি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার এবং বর্তমান প্রজন্মের আইডল জনাব তারেক রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। সেই আদর্শেই আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি করি—দেশে সুশাসন, গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।”
আজ শার্শা-বেনাপোল সীমান্তের মানুষ চায় সহিংস রাজনীতির অবসান এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটি সমাজব্যবস্থা। তাদের আশা, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা এমন একজন নেতাকে বেছে নেবেন, যিনি এই জনপদে শান্তি, ন্যায় ও উন্নয়নের আলোকবর্তিকা হয়ে উঠবেন।