বেনাপোল স্থলবন্দরে জলাবদ্ধতায় ডুবছে , পণ্য খালাস কার্যক্রমে বিপর্যয়

ফোরকান জামান,শার্শা(যশোর)প্রতিনিধি:
বেনাপোল স্থলবন্দরে জলাবদ্ধতায় ডুবছে : বন্দর কর্তৃপক্ষ, উপজেলা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়ন ছবি: সংগৃহীত
বেনাপোল স্থলবন্দরে জলাবদ্ধতায় ডুবছে : বন্দর কর্তৃপক্ষ, উপজেলা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়ন ছবি: সংগৃহীত

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ভরাট করায় জলাবদ্ধতার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পানি জমে থাকছে। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ভারতের সঙ্গে আমদানি হওয়া পণ্যের খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েকটি গেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এ জলাবদ্ধতা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মো. মামুন কবির তরফদার শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়ে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করেন। এক্সক্যাভেটরের মাধ্যমে কালভার্টের সামনের মাটি কেটে পানি বের করা হয়।উল্লেখ্য, বন্দরের বিভিন্ন অংশে কয়েক বছর ধরে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকে। তবে রেলওয়ের চলমান নির্মাণ কাজের সময় পুরাতন কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশন একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির পানি বন্দরের শেড ও ওপেন ইয়ার্ডে জমে থাকার ফলে পণ্যের গুণগত মানের ক্ষতি হচ্ছে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থঝুঁকি বাড়ছে।

বেনাপোল বন্দরে প্রতিবছর ২২ থেকে ২৪ লাখ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্য সংরক্ষণের জন্য রয়েছে ৩৩টি শেড, ৩টি ওপেন ইয়ার্ড এবং একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড। কিন্তু এসব অবকাঠামোর বেশিরভাগই পরিকল্পিতভাবে নির্মিত না হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা নেই। বন্দরের রাস্তার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় পানি সহজে জমে যায়।

স্থানীয় শ্রমিকরা জানান, কেমিক্যাল মিশ্রিত পানিতে দীর্ঘ সময় কাজ করতে গিয়ে তারা চর্মরোগসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫-এর সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ আলী বলেন, "ভারী বর্ষণের কারণে আমাদের শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না। এতে হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য ক্ষতির মুখে পড়ছে।"

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, "রেলওয়ের কারণে পানি যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে ছিল। ইউএনও মহোদয়ের সহযোগিতায় আমরা দ্রুত পুরনো কালভার্টগুলোর জায়গা নির্ধারণ করে নতুন করে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই এ সমস্যা সমাধান হবে।"এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপ-পরিচালক কাজী রতন, প্রকৌশলী উপ-পরিচালক মোছা. রোকসানা খাতুন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম, হ্যান্ডেলিং ইউনিয়নের ৯২৫ সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তবিবুর রহমান তবি ও সাধারণ লেবারসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এলাকার খবর

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত