উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত ‘একটু বলেন আমার মেয়ে কোথায় আছে’—সন্তানের খোঁজে আহাজারি মায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক। খবরপত্র
সন্তানের খোঁজে আহাজারি মায়ের, খবরপত্র ছবি:
সন্তানের খোঁজে আহাজারি মায়ের, খবরপত্র ছবি:


রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় পুরো দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নারী ও শিশুসহ বহু শিক্ষার্থী আহত ও দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) নিশ্চিত করেছে।

ঘটনার পর আহতদের উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হচ্ছে। আহতদের স্বজনরা ভিড় করছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে। চারদিকে আতঙ্ক ও কান্নার রোল—সন্তানদের খোঁজে বিভ্রান্ত, দিশেহারা মা-বাবা।

মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আফিয়ার খোঁজে হাসপাতালে আসেন তার মা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আফিয়ার কোনো খোঁজ না পেয়ে অসহায় মুখে সাহায্য প্রার্থনা করেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে বলেন,
“আমার মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে, আমি তাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। একটু বলেন তো, আমার মেয়ে কোথায় আছে?”

পরে মেডিকেলের কিছু শিক্ষার্থী তার মেয়ের ছবি দেখে জানান, আফিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

গুরুতর আহত ৩৫ জন বার্ন ইউনিটে

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শরীরে দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে। গুরুতর আহত অন্তত ৩৫ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

শোক ও সহানুভূতি

প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় রাষ্ট্রের প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষামন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো সংবেদনশীল স্থানে এমন দুর্ঘটনায় দেশের মানুষ বাকরুদ্ধ।

উশদ্ধার অভিযান চলমান

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এলাকার খবর

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত