বেনাপোল স্থলবন্দরের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে গঠন করা হয়েছে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি। এই কমিটির উদ্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭০ শতাংশ পানি নিষ্কাশন সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়েছে কিন্তু স্থায়ী সমাধান নয়। পরবর্তীতে বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে এই জলবদ্ধতা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।১০ জুলাই (বুধবার) সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেন ব্যবস্থা ও পুরোনো ড্রেন সংস্কারের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর, রেলওয়ে ও পৌরসভা যৌথভাবে সমন্বিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকলেও এবার তা স্থায়ীভাবে সমাধানের লক্ষ্যে সবাই একসাথে কাজ শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষণকালে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল স্থলবন্দর উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মামুন কবীর তরফদার, কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ ফয়সাল আহসান সজীব, রেলওয়ে সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ চাঁদ আহমেদ, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, বন্দর ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের, ৯২৫ হ্যান্ডেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী, রেলওয়ে পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর আমিনুল হক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং কমান্ডার সাত্তার আলী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিক বিন্দু।
শ্রমিক নেতা মোঃ সহিদ আলী জানান, “আমরা বেনাপোল বন্দরের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি স্থায়ী সমাধান চাই এবং এর জন্য প্রয়োজন হলে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।”
বেনাপোল স্থল বন্দর ৮৯১ এর সভাপতি মাকসুদুর রহমান রিন্টু বলেন, বেনাপোল স্থল বন্দরে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা আমরা দিতে প্রস্তুত, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন ব্যবস্থা ও স্থায়ী সমাধানের পথ খুজতে হবে।
স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, স্থায়ীভাবে সমাধান করতে হলে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে এবং বর্তমানে রেলওয়ে তাদের নিজস্ব তদরুকিতে পানি নিষ্কাশন করবে, সাথে কাস্টমস তারাও তাদের মত পানি নিষ্কাশন করবে। এবং রেলওয়ের কাজকে গতিশীল করতে বন্দরের এক্সচেঞ্জ পানিকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।স্থায়ী কোনো প্রকল্প না হলে এই পানি নিষ্কাশনের সঠিক সমাধান হওয়া সম্ভব নয়।
এছাড়াও, গত ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে বেনাপোল পৌরসভা, কাস্টম হাউস ও বন্দর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সভাপতি হচ্ছেন বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সদস্য হিসেবে রয়েছেন কাস্টম হাউস, স্থলবন্দর, রেলওয়ে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য একজন ব্যক্তি ও নির্বাহী প্রকৌশলী।
স্থানীয়রা আশা করছেন, এই সমন্বিত উদ্যোগ ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে এবং ভবিষ্যতে বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম বাধাহীনভাবে পরিচালিত হবে।