ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলে প্রশংসাপত্রে অতিরিক্ত ফি, ক্ষোভে অভিভাবকরা

হুমায়ুন কবির মিরাজ, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলে প্রশংসাপত্রে অতিরিক্ত ফি, ক্ষোভে অভিভাবকরা, খবরপত্র ছবি:
ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলে প্রশংসাপত্রে অতিরিক্ত ফি, ক্ষোভে অভিভাবকরা, খবরপত্র ছবি:

যশোরের ঝিকরগাছা পৌর সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বদরুদ্দীন মুসলিম হাইস্কুলে (বিএম হাইস্কুল) এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের থেকে প্রশংসাপত্র (Testimonial) নেওয়ার সময় ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এর কোনো ভিত্তি নেই।

 

বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রশিদ ছাড়া এই টাকা আদায় করা হচ্ছে, যা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী।

 

৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ সামছুজ্জামান তার লিখিত অভিযোগে জানান, তার ছেলে মোঃ সাজিদুর জামান ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। কলেজে ভর্তি করতে গিয়ে প্রশংসাপত্র নিতে বিদ্যালয়ে গেলে ৫০০ টাকা দাবি করা হয়। কোনো রশিদ না দিয়েই ওই অর্থ দিতে বাধ্য করা হয়।

 

এমন অভিযোগ দিয়েছেন ওই স্কুলের আরও অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী। জানা গেছে, চলতি বছর বিএম হাইস্কুল থেকে ২৫৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেছে। ইতোমধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থী অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দিয়ে প্রশংসাপত্র নিতে বাধ্য হয়েছে, কিন্তু কেউই রশিদ পাননি।

 

প্রশ্ন উঠেছে— সরকারি নির্দেশনা না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ অর্থ আদায় করছে?

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, ২০২২/২৩ শিক্ষাবর্ষে তৎকালীন স্কুল কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বর্তমান কমিটির অনুমতি নেওয়া হয়নি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, প্রশংসাপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অর্থ আদায়ের সরকারি নির্দেশনা নেই। এটি একটি গুরুতর অনিয়ম। ইতোমধ্যে দুইটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে বিদ্যালয়ের এমন আচরণে হতাশ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এলাকার খবর

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত