দীর্ঘ দেড়যুগ পর বহুল প্রতীক্ষিত কচুয়া উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। এদিন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত নির্বাচনী আমেজে সম্মেলনটি রূপ নেয় এক জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক মিলনমেলায়।
ভোটের মাধ্যমে কচুয়া উপজেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়। নির্বাচিতরা হলেন সভাপতি পদে সরদার জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ তৌহিদুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন ও হুমায়ুন কবির।
সভাপতি পদে চেয়ার প্রতীক নিয়ে ৩৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন সরদার জাহিদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না ছাতা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শেখ তৌহিদুল ইসলাম, যাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার শাহনেওয়াজ পেয়েছেন ১৭৮ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ২৮০ ভোট পেয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছেন শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন। একই পদে মোরগ প্রতীক নিয়ে ১৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন হুমায়ুন কবির। এ ছাড়া এই পদে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো. মহিদুল ইসলাম নকীব (মাছ প্রতীক, ১৬৩ ভোট), মো. নুরুল ইসলাম সিকদার (তালা প্রতীক, ৭৮ ভোট), ও মুহাম্মদ আব্দুস সালেক শেখ (সাইকেল প্রতীক, ৮৪ ভোট)।
সম্মেলন ঘিরে গোটা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে প্রাণের উচ্ছ্বাস। সর্বত্র ছিল জাতীয়তাবাদী দলের কর্মীদের পদচারণা এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা, যা সংগঠনের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও পরিবর্তনের প্রত্যাশাকে প্রতিফলিত করে।
নির্বাচনে বিজয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় সরদার জাহিদ বলেন, এই বিজয় কেবল আমার নয় এটি কচুয়া উপজেলা বিএনপির প্রতিটি তৃণমূল নেতাকর্মীর বিজয়। আমি অঙ্গীকার করছি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস মুক্ত একটি সুসংগঠিত বিএনপি গড়ব ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের নিজেদের দলের মধ্যে নির্বাচন। তাই কাদা ছোড়াছুড়ি নয়, বরং সবাইকে নিয়ে বিএনপিকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করবো। আমি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে কচুয়া উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন এক গতি এবং ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সম্ভাবনা তৈরি হলো বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
