জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে বিএমইউতে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে বিএমইউতে আলোচনা ,খবরপত্র ছবি:
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে বিএমইউতে আলোচনা ,খবরপত্র ছবি:

দেশ ও চিকিৎসাব্যবস্থা এগোলেই শহীদদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে

২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ যেন ব্যর্থ না হয়—এ জন্য দেশে কার্যকর গণতন্ত্র ও আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) জুলাই গণ-অভ্যুত্থান মাস উপলক্ষে বিএমইউ আয়োজিত র‌্যালি, বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন।

বিএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই আমাদের ইতিহাসের মোড় ঘোরানো অধ্যায়। ভয় আর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ঐক্যই গণতন্ত্র ও স্বাধীন মত প্রকাশের পথ খুলে দিয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব—উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করে সেই আত্মত্যাগের মর্যাদা রক্ষা করা।”

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বিগত সরকার বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল, ন্যায্য আন্দোলনে হামলা করেছিল। সেই সরকার পতনের পথ তৈরি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে। এখন ঐক্য ধরে না রাখতে পারলে আবার অগণতান্ত্রিক শক্তি মাথা তুলবে।”

গবেষণা ও উন্নয়ন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “ছাত্র-জনতা বুলেটের মুখে দাঁড়িয়ে যে পথ তৈরি করেছে, সেটিকে এগিয়ে নিতে আধুনিক ও মানবিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।”

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, “এই আন্দোলনের কারণে আমরা আজ দায়িত্বশীল পদে আছি। জনগণের চিকিৎসা ও শহীদদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।”

জুলাই মাসজুড়ে বিএমইউ শহীদদের স্মরণে রক্তদান ও স্ক্রিনিং ক্যাম্প, বিনামূল্যে চিকিৎসা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে রেজিস্টার অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. রুহুল আমীন, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ, শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 

এলাকার খবর

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত