বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্তকে রেলওয়ে ‘কেবলমাত্র একটি বাণিজ্যিক উদ্যোগ’ হিসেবে দেখছে। রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনো ধরনের দলীয় রাজনীতি জড়িত নয়।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, “রাজনৈতিক দলের আবেদনের ভিত্তিতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়মিত একটি কার্যক্রম। জামায়াতের ক্ষেত্রেও পূর্বের নিয়ম অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কোনো পক্ষপাত বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।”
রেলওয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জামায়াতের সমাবেশ উপলক্ষে তারা প্রায় ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করে ট্রেন ভাড়া নিয়েছে। এতে রেলওয়ে যেমন আয় করছে, তেমনি নিয়মিত ট্রেনের যাত্রীদের বাড়তি চাপ ও ভোগান্তিও কমবে।
রেলওয়ে বলেছে, রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় বিশেষ ট্রেন না চালালে নিয়মিত ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় হয়। এতে টিকিটবিহীন যাত্রী নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ ট্রেনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রীরা যাতায়াতের সুযোগ পান।
এ বিষয়ে রেলওয়ে আরও জানায়, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের স্বাভাবিক চাপ কম থাকে। তাই বিশেষ ট্রেন চালানোর জন্য নিয়মিত কোনো ট্রেনের সময়সূচি বা সেবা ব্যাহত হবে না। বিশেষ ট্রেনের জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যবহার করা রেক (ট্রেন সেট) ব্যবহৃত হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রেলওয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, “এটি একটি সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত। কোনো দলীয় রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যতেও কোনো রাজনৈতিক দল চাইলে একইভাবে নিয়ম মেনে বিশেষ ট্রেনের জন্য আবেদন করতে পারবে।”