জয়পুরহাট-২ আসনে আলোচনায় এলডিপির প্রার্থী অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন

খবরপত্র প্রতিবেদক
অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন ছবি: খবরপত্র
অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন ছবি: খবরপত্র

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক গণসংযোগ করেছে এলডিপির নেত্রী অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন 

 জুলাই মাস ব্যাপি এলডিপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও গণতান্ত্রিক মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন জয়পুরহাট-২  আসনের ক্ষেতলালের ফুলদীঘি,আলমপুর,বানাইচ,হিন্দা,ইটাখোলা,ক্ষেতলাল পৌর সভা  এবং আক্কেলপুর উপজেলা সদর,পৌরসভা,গৌপিনাথপুর,তিলকপুরে ব্যাপক গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ করেন। এছাড়াও গতকাল শনিবার ক্ষেতলাল উপজেলার মধুপুকুর,শিবপুর, কালাই উপজেলার মোলামগাড়ী, বেগুন গ্রাম,পৌর সভা,পুনট এলাকায় এলডিপির নেতাকর্মীসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং  সকল শ্রেণি পেশা মানুষের  সাথে যোগাযোগ  বৃদ্ধি করে চালিয়েছেন। ইতিপূর্বেও তিনি ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে পোস্টার, গণসংযোগ এবং প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, হোটেল ও চা দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের মধ্যে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন।

অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফজলুর রহমান মন্ডল। তিনি আকলাস, শিবপুর, শ্যামপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ক্ষেতলালের ছাইদ আলতাফুন্নেছা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (সমাজবিজ্ঞান) সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি ঢাকা ন্যাশনাল কলেজ থেকে বিএড এবং ঢাকা মহানগর ল কলেজ থেকে এলএল.বি পাস করেন। ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স ও আইসিটি এবং লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সেও তিনি ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন।

পেশাগত জীবনে তিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা ইউনাইটেড কলেজ, ন্যাশনাল পাবলিক কলেজ, এমিনেন্স কলেজ এবং কুইন মেরী কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। ২০২২ সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিনি এবং তার স্বামী চাকুরিচ্যুত হন।

ছাত্রজীবনে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ২০১০ সালে তিনি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-তে যোগ দেন। ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনের পর থেকে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের মধ্যেও তিনি গণতান্ত্রিক মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে সারা দেশে গণতান্ত্রিক মহিলা দলের কার্যক্রম প্রসারিত হয়। ২০১৫ সালে এলডিপির জাতীয় কাউন্সিলে তিনি উপদেষ্টা পদে নির্বাচিত হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগের দাবিতে তিনি সভা, সেমিনার, পদযাত্রা, গণঅনশন, অবস্থান ধর্মঘট,অবরোধ,
হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সাহসিকতার পরিচয় রাজপথে সক্রিয় ছিলেন । তার স্বামী অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুর রহমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের গুলিবিদ্ধ  এবং  রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে আহত হন।

অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন তার রাজনৈতিক পিতা ড. কর্নেল অলি আহমদ, ( অব.) বীর বিক্রমের আদর্শে অনুপ্রাণিত। ড. অলি আহমদকে তিনি দেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ ও দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করেন। তার মতে, সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতৃত্বই একটি দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সক্ষম।

অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন জয়পুরহাট-২ আসনের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমরা বিএনপির পরীক্ষিত বন্ধু। যুগপৎ আন্দোলনে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, জোটগত নির্বাচনে জয়পুরহাট-২ আসনে আমি শতভাগ মনোনয়ন পাব। আমার লক্ষ্য দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা। জনগণের সেবা করতে আমাকে একবার সুযোগ দিন।”

জয়পুরহাট-২ আসনের জনগণের দোয়া ও সমর্থন কামনা করে অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন একটি উন্নত ও সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

এলাকার খবর

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত