যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় শামছুন্নাহার বন্যা (২৩) নামে এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বন্যা নার্সিংয়ে পাস করেছিলেন এবং বিয়ে ছাড়াই প্রেমিক নাইমের সঙ্গে স্বামী–স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর নাইমকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
পুলিশ জানায়, বন্যা বেনাপোল পোর্ট থানার রঘুনাথপুর গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে। অপরদিকে, নাইম সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে এবং অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজারের ‘অ্যামোটক বিডি’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
নাইমের প্রাথমিক জবানবন্দি অনুযায়ী, প্রায় এক বছর আগে তাদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। পরে তারা পালবাড়ি মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে থাকতে শুরু করেন। তবে বাড়ির মালিক বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করেছেন নাইম।
শনিবার সকালে বন্যাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই নাইমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, বন্যার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।