বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক রাশেদ খান পদত্যাগ করেছেন। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
রাশেদ খান তাঁর পোস্টে লেখেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার আহ্বায়ক পদ থেকে আমি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছি। একই সঙ্গে এনসিপি ও এর ছাত্র কিংবা যুব উইংয়ের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
জুলাই গণ–অভ্যুত্থান উপলক্ষে যখন সারা দেশে এনসিপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নানা কর্মসূচি চলমান, ঠিক তখন এই পদত্যাগ ঘিরে সংগঠনের অভ্যন্তরে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাশেদ খানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে তাঁর পদত্যাগের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাশেদ খানকে আহ্বায়ক এবং জেসিনা মুর্শিদকে সদস্যসচিব করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট যশোর জেলা কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ পদত্যাগ করেন, অভিযোগ তোলেন নৈতিক স্খলন ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের পুনর্বাসনের।
পরবর্তী এক সপ্তাহে আরও সাতজন নেতা একই অভিযোগে পদত্যাগ করেন। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা কমিটি গঠনে অনৈতিক কার্যক্রমের অভিযোগে সদস্যসচিব জেসিনা মুর্শিদের পদ স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
নানা সময়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠায় সংগঠনের অনেক নেতা–কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এমনকি কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতেও মাঠপর্যায়ে উপস্থিতি লক্ষণীয়ভাবে কমে গেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ পদত্যাগ সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংকটের বহিঃপ্রকাশ এবং নেতৃত্বের প্রতি ক্রমবর্ধমান অনাস্থার ইঙ্গিত বহন করে।