বেনাপোল কাস্টমস হাউসে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন খনন শুরু

ফোরকান জামান,শার্শা(যশোর)প্রতিনিধি:
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন খনন শুরু ছবি: খবরপত্র
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন খনন শুরু ছবি: খবরপত্র

বৈরী আবহাওয়ায় টানা রাতভর ভারী বর্ষণের ফলে আবারও বেনাপোল কাস্টমস হাউস এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিপাতের পরপরই কাস্টম হাউস ও আশেপাশের এলাকায় পানি জমে থাকে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর তিনটায় বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের পাশ্ববর্তী এলাকায় দুইটি ইসকো মেশিনের মাধ্যমে ড্রেন খননের কাজ শুরু হয়েছে।

 

ড্রেন খনন কাজের উদ্বোধন করেন বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫-এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে। তিনি জানান, “বৃষ্টির একদিনের মধ্যেই কাস্টম হাউসে হাঁটু পানি জমে থাকে। এতে হাজার কোটি টাকার পণ্য পানিতে ডুবে থাকে, ব্যবসায়ীদের চলাচলে বিপত্তি ঘটে। তাই শ্রমিকদের সহায়তায় এবং রেললাইন বা আশেপাশের গ্রামবাসীদের ক্ষতি না করেই সতর্কতার সাথে ড্রেন খননের কাজ শুরু করেছি।”তিনি আরও জানান, “আমাদের আশা, এই ড্রেন খনন কাজ সম্পন্ন হলে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হবে এবং আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।”

সি অ্যান্ড এফ ব্যবসায়ী বিলকিস সুলতানা সাথী বলেন, “সরকার বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে। অথচ সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান পানি ওঠে, এতে আমরা ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ি। সরকারের কাছে দ্রুত ও টেকসই জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানাচ্ছি।”

আরেক সি অ্যান্ড এফ ব্যবসায়ী মোঃ ইউনুস আলী বলেন, “আগে রেলস্টেশনের পাশের কালভার্ট ও ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু রেলওয়ের নতুন নির্মাণ কাজের কারণে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা বেড়েছে। পণ্য নষ্ট হচ্ছে, আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। তাই আমি নিজেও এই খনন কাজে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করছি।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সম্মিলিত উদ্যোগে শুরু হওয়া এই ড্রেন খনন কাজ আগামী দিনে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এলাকার খবর

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত