ভারত থেকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে দেশে ফিরল ১৭ শিশু-কিশোর

ফোরকান জামান,শার্শা(যশোর)প্রতিনিধি:
ভারত থেকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে দেশে ফিরল ১৭ শিশু-কিশোর ছবি: খবরপত্র
ভারত থেকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে দেশে ফিরল ১৭ শিশু-কিশোর ছবি: খবরপত্র

ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের পর বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছে ১০ জন শিশু-কিশোর ও ৭ জন কিশোরীসহ মোট ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নিয়াজ মাখদুম উপস্থিত ছিলেন।

ফেরত আসাদের মধ্যে রয়েছেন—গাজীপুরের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে দিপা, চাপাইনওয়াবগঞ্জের রফিকুল ইসলামের ছেলে মইন খান, হবিগঞ্জের মাহবুব আলমের ছেলে নুর আলম, গোপালগঞ্জের দিলিপ মণ্ডলের ছেলে হৃদয় মণ্ডল, কুষ্টিয়ার ইউসুফ সেখের ছেলে ইমরান শেখ, লক্ষ্মীপুরের ইউসুফ মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান, খুলনার ইয়াসিন আরাফাতের ছেলে নাহিদ মোরল, নড়াইলের গিয়াস সেখের ছেলে ফয়সাল সেখ, বাগেরহাটের বিল্লাল হাওলাদারের ছেলে রানা হাওলাদার, লালমনিরহাটের মনিন্দ্রনাথ রায়ের মেয়ে মল্লিকা রানী, কিশোরগঞ্জের কামাল উদ্দিনের মেয়ে সামিরা আক্তার, রাঙামাটির সাইদুরের মেয়ে সারা জান্নাত, লক্ষ্মীপুরের ইউসুফের মেয়ে ইমু খাতুন, পাবনার আমিরুল ইসলামের মেয়ে মিথিলা রহমান, বাগেরহাটের মন্টু জমাদ্দারের ছেলে সাইম জমাদ্দার, নওগাঁর সাহানুর সরদারের ছেলে কমল সরদার এবং পাবনার জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে নুরজাহান খাতুন।ফেরত আসাদের বয়স ৭ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি জানান, বাবা-মায়ের সঙ্গে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যাওয়া এসব শিশু-কিশোর বিভিন্ন অভিযানে আটক হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তারা দেশটির বিভিন্ন শেল্টার হোমে দেড় থেকে তিন বছর পর্যন্ত অবস্থান করে। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালির পর তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসারা জানিয়েছেন, তারা ভারতের মুম্বাই ও পশ্চিমবঙ্গের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন, লিলুয়া হোম, বহরামপুর মানসিক হাসপাতাল, সুকাইনা হোম, এশিয়ান সাইগো সেরেস্তা ২৪ পরগনা, চিল্ড্রেন ফর গার্লস হোম নদিয়া, অবজারভেশন বয়েজ হোম নদিয়া, কাজী নজরুল ইসলাম বয়েজ হোম বহরামপুর, কিশোলয় চিল্ড্রেন হোম বারাসাত, আরকে ভি মিশন উত্তর ২৪ পরগনা, শহিদ বন্দনা স্মৃতি বিহালা এবং লিলুয়া এসএস হোমে অবস্থান করেছেন।

যশোর মহিলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেখা রানী বলেন, “ফেরত আসাদের মধ্যে ৭ জনকে আমরা আমাদের হোমে রেখেছি। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে হস্তান্তর করা হবে।”

রাইটস যশোরের প্রতিনিধি শফি আহমেদ ও জাস্টিস ফর কেয়ারের প্রতিনিধি জানান, তারা ভারত থেকে ফেরত আসাদের মধ্যে থেকে ৫ জন করে দায়িত্ব নিয়েছেন এবং শিগগিরই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের হাতে তুলে দেবেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মো. রাসেল মিয়া বলেন, “ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বেসরকারি তিনটি এনজিওর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

 

 

 

এলাকার খবর

সম্পর্কিত