বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের (SEARO) পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা হেলথ পলিসি ওয়াচ-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস একটি অভ্যন্তরীণ ই-মেইলে কর্মীদের জানান, সায়মা ওয়াজেদ ছুটিতে যাচ্ছেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বোহেম। আগামী ১৫ জুলাই মঙ্গলবার তিনি নয়াদিল্লিতে SEARO অফিসে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
এই পদক্ষেপ এসেছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুটি মামলা দায়েরের চার মাস পর। অভিযোগে বলা হয়েছে, সায়মা ওয়াজেদ আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পেতে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছেন। অভিযোগগুলো বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা লঙ্ঘন করেছে।
দুদকের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম জানান, সায়মা ওয়াজেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি সম্মানসূচক পদ দাবি করে নিজের যোগ্যতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া, তার প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের জন্য প্রায় ২.৮ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তোলা অর্থের ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দুদক।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে WHO-SEARO আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে তার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল এবং এতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে।
বর্তমানে সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং দেশে ফিরলে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনার কারণে SEARO অঞ্চলে তার গতিবিধি সীমিত হয়ে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।