গাজায় অব্যাহত হামলায় ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত অগণিত ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত অগণিত ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় ফের রক্তাক্ত হলো ফিলিস্তিনি জনপদ। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া তীব্র হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা আরও বেশি।

গাজার মেডিকেল সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানায়, প্রতিদিনের আহতদের চাপ সামাল দিতে না পেরে ইতোমধ্যে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। সংকট এতটাই ভয়াবহ যে, ডাক্তারদের এখন বাধ্য হয়ে বাছাই করতে হচ্ছে—কে চিকিৎসা পাবে, কে অপেক্ষায় থাকবে।

 

নিরাপদ জোনেও রক্ষা নেই:

সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার দৃশ্য দেখা গেছে দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসিতে।

একসময় যাকে "নিরাপদ অঞ্চল" ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই জায়গায় বাস্তুচ্যুতদের তাবুতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আগুন ধরে যায়।

এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আল-মাওয়াসি এলাকায় এর আগেও একাধিকবার ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছে।

উত্তর গাজা ও শহরেও হামলা:

গাজা শহরের তুফাহ এলাকায় তিনজন নিহত হন।

উত্তর গাজার জাবালিয়ার আন-নাজলায় বিমান হামলায় মারা যান আরও পাঁচজন।

এছাড়া মানবিক সহায়তা নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ছয়জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ভয়াবহ ড্রোন হামলা:

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ভর্তি আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

স্থানীয়রা বলছেন, আজকের বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ড্রোন হামলায়।

এই ড্রোন মিসাইলে থাকে পেরেক, ধাতব টুকরো ও শার্পনেল, যা বিস্ফোরণের সময় মানুষের দেহে ঢুকে ভেতরে রক্তক্ষরণ ঘটায়।

বাজার, পানির লাইনের মতো জনসমাগমের স্থানগুলোতে এ ধরনের হামলা এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর 'নির্ভুল অস্ত্রের' দাবির বিপরীতে বাস্তবতা

ইসরায়েল দাবি করছে তারা উন্নত প্রযুক্তির নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করছে।

কিন্তু বাস্তবে সাধারণ মানুষের হতাহতের সংখ্যা ইসরায়েলি সেই দাবিকে বারবার মিথ্যা প্রমাণ করছে।

এলাকার খবর

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত