শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে একঝাঁক বিএনপি কর্মীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের জামায়াত মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়জুর রহমান ফিরোজ। তার উপস্থিতিতে ইউনিয়ন বিএনপির মোট ২৪ জন নেতাকর্মী ও সমর্থককে জামায়াতের সহযোগী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
জামায়াতে যোগ দেওয়া বিএনপি কর্মীরা হলেন— সোহেল রানা, মো. ইসমাইল, জাহিদুল ইসলাম, ইলিয়াস মিয়া, মো. মানিকুল, মো. ফারুক, মো. মামুন, মো. হাসান, মো. সাগর মিয়া, নোনা মিয়া, মো. রাকিবুল হাসান, ইবনে আনাজ, শফিকুল ইসলাম, সরাফাত মিয়া, হায়তুলা, মো. সেকান্দর আলী, মুসুদ, রফিকুল ইসলাম, মো. সিদ্দিক, মিলু মিয়া, মো. সেলিম মিয়া, মো. জাহিদুল ইসলাম এবং মো. মোখন।
জামায়াতে ইসলামী নকলা উপজেলা আমীর গোলাম সারোয়ার জানান, “যারা যোগদান করেছেন তারা প্রায় দুই মাস ধরে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। প্রাথমিক কিছু বই ও তথ্য পেয়ে তারা জামায়াতের গঠনতন্ত্র ও কার্যক্রম ভালোভাবে জেনেছেন। সেই ভিত্তিতেই তাদের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সংগঠন কাঠামো ধাপে ধাপে সাজানো। প্রথমে সহযোগী সদস্য, পরে কর্মী এবং শেষে পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ দেওয়া হয়। এই ২৪ জন এখন প্রাথমিক ধাপে আছেন এবং কর্মী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সিলেবাস অধ্যয়ন করছেন। আশা করি এক থেকে দুই মাসের মধ্যে তারা দ্বিতীয় ধাপে উন্নীত হবেন।”
অন্যদিকে, শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন বিএনপির ২৪ জন নেতাকর্মী জামায়াতে যোগ দিয়েছেন— এ বিষয়ে আমি এখনো অবগত নই। খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। অনেক সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবেই কেউ দল পরিবর্তন করে, তবে আমাদের দলের কেউ যাচ্ছেন কি না তা যাচাই না করে কিছু বলা যাচ্ছে না। কেউ রাগ-অভিমান বা ব্যক্তিগত কারণে দল পরিবর্তন করে থাকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”