শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের বিএনপির রাজনীতির এক নির্ভরযোগ্য, কর্মীবান্ধব এবং ত্যাগী নেতা লুৎফর সর্দ্দার আর নেই। শনিবার (২ আগস্ট) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
মরহুম লুৎফর সর্দ্দার ছিলেন উলাশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী নেতা, দুঃসময়ের সাহসী কণ্ঠস্বর এবং দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার পুত্র, দুই কন্যা ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রবিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় কন্যাদহ দাখিল মাদ্রাসা মাঠে তাঁর জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, আত্মীয়-স্বজন ও শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেন। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমকে দাফন করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন—শার্শা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ্ব খাইরুজ্জামান মধু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম বাবু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম শহিদ, বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সহিদ আলী, উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাবেক ইউপি সদস্য মো. রিজাউল ইসলামসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, "লুৎফর সর্দ্দার শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন এলাকার মানুষের আপনজন, দুঃখে-সুখে নির্ভরযোগ্য একজন সহচর। রাজনীতিতে তাঁর নিষ্ঠা, ত্যাগ ও নেতৃত্ব আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।"
বিএনপির নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।