টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে যশোরের শার্শা উপজেলার ইছামতী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রুদ্রপুর, বিলপাড়া, বাইকোলা, সনাতনকাঠি, বসতপুর, কন্যাদহ গয়ড়া, বাঘাডিংগা, কায়বা, গোড়া, বাগাচড়া, পুটখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অসংখ্য পরিবার।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শার্শা উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্লাবিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তারা ভবানিপুর, দাদখালী, রুদ্রপুর, গোগা বিলপাড়া ও বাইকোলা এলাকার ভাঙা ভেড়িবাঁধ, নষ্ট স্লুইসগেট এবং পানিবন্দী মানুষের বাড়িঘর ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শন শেষে দাদখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন— কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবু ও সালাউদ্দীন আহম্মেদ।বক্তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীরা তৃণমূল পর্যায়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে আজ প্লাবিত এলাকায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে ও সান্ত্বনা দিতে এসেছি।
তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার কাগজ-কলমে বরাদ্দ দেখিয়ে দুর্নীতি করেছে, কিন্তু বন্যাকবলিত মানুষের জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বক্তারা প্রতিশ্রুতি দেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মাণ, গরিব ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনসহ সার্বিক উন্নয়ন করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলী বিশ্বাস ও তাজউদ্দীন আহমেদ, যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইমদাদুল হক, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তাফিজ জোহা সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন বাবলু ও কবির হোসেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম চয়ন, সদস্য সচিব সবুজ হোসেন খানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।