বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে বিএনপির নামে যারা আন্দোলন করছে, তারা দলের কেউ নন। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত রথযাত্রা উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “যারা আয়কর বা অন্যান্য অফিসে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন, তারা প্রকৃতপক্ষে বিএনপির কেউ নন। তারা নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এইসব কাজ করছেন।”
তিনি আরো বলেন, “বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কিছু লোক সরকারি অফিসে নানারকম অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে স্পষ্ট করে বলছি, এদের কেউই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “একজন ব্যক্তি এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে। ভবিষ্যতে তিনি আরও কাউকে অপসারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি জানি না, অন্য সিনিয়র নেতারাও জানেন না।”
রিজভী সতর্ক করে বলেন, “জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী সকল নেতাকর্মীদের এসব ভুয়া আন্দোলনকারী সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।”
আলোচনা সভায় রিজভী বলেন, “রক্তপাত ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত যে সুযোগ, তা ভবিষ্যতে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলবে এবং সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে।”
তিনি আরও জানান, “যদিও বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে সমালোচনা করেছে, তবে সরকারের ভালো কাজের প্রশংসাও আমরা করেছি। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আলোচনার ভিত্তিতে আশা করা যায়, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেবে।”
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, ওই নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। এতে স্পষ্ট হয়েছে, শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনই অবৈধভাবে হয়েছে।”
বক্তব্যের শেষদিকে তিনি বলেন, “প্রশাসনের ভেতরে থাকা কিছু সুবিধাভোগী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দালালরা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমাদের সচেতন থেকে তাদের প্রতিহত করতে হবে।”