গোপালগঞ্জ, বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমি, শাসকদলের রাজনৈতিক শক্তির দুর্গ — অথচ এখানেই এখন জন্ম নিচ্ছে এক অদ্ভুত নতুন ছদ্মধর্মের মডেল, যা এক কথায় ‘গোপালগঞ্জ মডেল’ নামে পরিচিতি পাচ্ছে।
* কি এই নতুন মডেল?
সম্প্রতি একাধিক লাইভ ভিডিও ও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান বলছে —
একই নারী গায়ে কালো বোরখা, অথচ হাতে শাঁখা, সিঁথিতে সিঁদুর!
ধর্মীয় নিয়মে এটা একদমই অসম্ভব — কিন্তু রাজনৈতিক মাঠে এই ছদ্মবেশের ‘মিক্সড ভার্সন’ এখন ‘ধর্ম+রাজনীতি’ গুপ্ত ষড়যন্ত্রের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠেছে।
*কেন এমন ছদ্মধর্ম?
স্থানীয় বিশ্লেষকরা বলছেন —
মুসলিম পরিচয়: বোরখা পরে মুসলিম সমাজের সহানুভূতি আদায়।
হিন্দু পরিচয়: শাঁখা-সিঁদুর পরে সংখ্যালঘু দাবিকে ঢাল।
দুই পরিচয়ের মিশেল: এক নারী, দুই ধর্মের চিহ্ন — যেখানে সুবিধা সেখানেই ঢুকে বিশৃঙ্খলা, অকারেন্স আর উস্কানি।
* প্রমাণ ফুটেজ:
গোপালগঞ্জে এনসিপিরএকটি প্রোগ্রামে ছাত্রলীগ-নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় — আর সেই হামলার ভেতরেই দেখা যায়, ছদ্মবেশী নারী ইউনিট মব সৃষ্টির কাজে ব্যস্ত।
ফুটেজে স্পষ্ট — এই ‘মিশ্র ছদ্মধর্মের নারী’ আসলে সরাসরি গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
*মূল উদ্দেশ্য:
যেকোনো রাজনৈতিক দলের মিছিল, সমাবেশ বা বৈঠক পণ্ড করে জনমনে বিরক্তি ও অনাস্থা তৈরি করা।
আন্দোলন দমন করতে গুপ্ত বাহিনীর ‘অজানা হাত’ হিসেবে কাজ করা।
পরে দায় চাপানো হয় বিরোধী শক্তি বা নতুন কোনো আন্দোলনের ঘাড়ে।
* নতুন ‘ধর্ম-সন্ত্রাস’ কতটা ভয়ংকর?
বিশ্লেষকরা বলছেন — এই ছদ্মবেশী নারী চক্র আসলে একটা ভিন্ন ধর্ম নয়, এক ‘ছদ্মধর্ম’ — যার মূল ধর্মই ষড়যন্ত্র আর মব তৈরি!
এখন প্রশ্ন —
এই মডেল গোপালগঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে?
নাকি পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে?
এই মডেলের গডফাদার কারা?
* জনগণের সরাসরি প্রশ্ন:
কে এই নতুন ‘ধর্মছদ্মবেশী বাহিনী’ চালাচ্ছে?
কারা এই নাটকের মূল পৃষ্ঠপোষক?
সরকার কি এই ছদ্মবেশের খবর রাখে না, না কি দেখেও না দেখার ভান করছে?
*গোপালগঞ্জ মডেল’: আজকের ছদ্মধর্ম, কালকের ছায়াযুদ্ধ?
এই ‘বোরখা-শাঁখা-সিঁদুর মডেল’ শুধু গোপালগঞ্জের নয় — এটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ধর্মীয় ছদ্মবেশ সন্ত্রাসের হাতিয়ার। এখনই প্রতিরোধ না হলে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ‘ছদ্মধর্মের মব’ জন্ম নেবে, দায় চাপবে একের ঘাড়ে আর লাভ যাবে গডফাদারদের পকেটে।
