জিয়া পরিবারই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রক্ষক -মফিকুল হাসান তৃপ্তি

ফোরকান জামান,শার্শা(যশোর)প্রতিনিধি:
জিয়া পরিবারই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রক্ষক -মফিকুল হাসান তৃপ্তি ছবি: খবরপত্র
জিয়া পরিবারই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রক্ষক -মফিকুল হাসান তৃপ্তি ছবি: খবরপত্র

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে ঘিরে ডিহি ইউনিয়নে এক উৎসবমুখর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ডিহি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এই উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইয়ামিন হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হক।

উঠান বৈঠকে স্থানীয় জনগণ, যুবসমাজ, নারী ভোটার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়ের ফলে পুরো এলাকাজুড়ে জনসমুদ্রের সৃষ্টি হয়। তৃপ্তির আগমনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়, যা নির্বাচনী উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দেয়।

বক্তব্যে মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মানুষের অধিকার ও উন্নয়নের লক্ষ্যেই বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান—জিয়া পরিবারই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রক্ষক।” তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম হয়েছে। গুম, খুন, গ্রেপ্তার ও শত শত মিথ্যা মামলার শিকার হলেও বিএনপি নেতাকর্মীরা জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের লড়াই থেকে পিছপা হননি।

উন্নয়নের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে তৃপ্তি বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি শার্শার রূপ বদলে দেবেন। তিনি ঘোষণা দেন, শার্শায় কোনো কাঁচা রাস্তা থাকবে না। নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতা প্রকল্প চালু করা হবে। বেকার যুবকদের জন্য ভাতা, স্কিল ট্রেনিং ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, সার-বীজ সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, শার্শায় কোনো মাদক ব্যবসায়ী স্থান পাবে না; মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে।

উঠান বৈঠকে শার্শা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমেদ, যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শার্শা থানা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদাদসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আল মামুন বাবলু, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, সাহাবুদ্দিন, সাহাদুর রহমান খোকন, মো. রেজাউল করিম, মশিউর রহমান, মোনেয়েম হোসেন, আতাউর রহমান আতা, আসাদুজ্জামান আসাদ, মুনতাসিম আজিম সাগর, রাকিবুল হাসান রিপন, শহিদুল ইসলাম শহীদ ও অন্যরা।

ডিহি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত এই উঠান বৈঠককে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় ব্যাপক নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। তৃপ্তির বক্তব্য ও উন্নয়ন প্রতিশ্রুতিতে নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় জনগণ।

এলাকার খবর

সম্পর্কিত