চট্টগ্রাম বন্দরে শাটডাউনের প্রভাব: আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা

খবরপত্র ডেস্ক
চট্টগ্রাম বন্দরে শাটডাউনের প্রভাব: আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা ছবি: খবরপত্র
চট্টগ্রাম বন্দরে শাটডাউনের প্রভাব: আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা ছবি: খবরপত্র

চট্টগ্রাম বন্দরে শুরু হয়েছে অচলাবস্থা। আজ সকাল ৬টা থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ধীরে ধীরে থেমে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরটির কার্যক্রম। দুপুর নাগাদ সকল গেট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশের জন্য দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করছে।

কাস্টমসের অনুমোদন ছাড়া বন্দরের পণ্য খালাস, আমদানি-রপ্তানি ও শুল্কায়ন কার্যক্রম একপ্রকার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শিপিং কার্যক্রমে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

 

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক শিপিং প্রতিষ্ঠান মেডিটেরানিয়ান শিপিং কোম্পানির হেড অব অপারেশন অ্যান্ড লজিস্টিকস আজমীর হোসেন চৌধুরী জানান, আগে থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত কিছু জাহাজে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কাজ এখনো চলছে। তবে যেসব জাহাজ নতুন এসেছে এবং নিবন্ধন হয়নি, সেগুলো জেটিতে ভিড়তে পারছে না। এছাড়া রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন বন্ধ থাকায় রপ্তানিও বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম বলেছেন, কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে। যদি শিগগিরই এই সমস্যা সমাধান না হয়, তবে দেশের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার এবং চেয়ারম্যানের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা এই লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য স্থল ও বিমান বন্দরে শুল্ক কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল দেশের মোট আমদানি-রপ্তানির সিংহভাগ কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ায় ব্যবসায়ী মহলে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া

প্রয়োজন।

 

এলাকার খবর

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত