ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা আয় আলিফের

রাশেদুজ্জামান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
তানভীর আহমেদ আলিফ ছবি: খবরপত্র
তানভীর আহমেদ আলিফ ছবি: খবরপত্র

বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে এখন সবচেয়ে আলোচিত ও আশাজাগানিয়া বিষয় হলো ফ্রিল্যান্সিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং। প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্বে নিজের দক্ষতা দিয়ে গড়ে তোলা যায় একটি পরিপূর্ণ ক্যারিয়ার, আর এই বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন তরুণ প্রফেশনাল তানভীর আহমেদ আলিফ। তিনি একাধারে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার।

শুরুটা ছিল একদমই সাধারণ—ইন্টারনেটে ঘেঁটে ঘেঁটে শেখা, ইউটিউব দেখে নতুন টুলস ব্যবহার করা, এবং নিজেই নিজের কাজ শিখে ফেলা। ফ্রিল্যান্সিংয়ে তিনি প্রথম কাজ শুরু করেন আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোতে, যেখানে গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং ভিডিও এডিটিংয়ের মতো সার্ভিস দিয়ে ধীরে ধীরে নিজের অবস্থান তৈরি করেন। গ্রাহকদের সন্তুষ্টি, সময়মতো কাজ ডেলিভারি আর ক্রিয়েটিভ আইডিয়ার মাধ্যমে তিনি পেয়েছেন ভালো রেটিং ও রিপিট ক্লায়েন্ট।

তাঁর ফ্রিল্যান্সিং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি শিখেছেন—

দায়িত্বশীলতা, সময় ব্যবস্থাপনা, ক্লায়েন্ট হ্যান্ডলিং এবং গ্লোবাল মার্কেটের প্রয়োজনীয়তা। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে দেশের বাইরে কাজের সুযোগ এনে দিয়েছে, আবার দেশের ভেতরে অনেক তরুণকে গাইড করার সাহসও দিয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং শুধুমাত্র একটি ইনকাম সোর্স নয়—বরং একটি ক্যারিয়ার, একটি লাইফস্টাইল, সেটাই তিনি বিশ্বাস করেন।

তিনি বলেন:"ফ্রিল্যান্সিং আমাকে শুধু টাকাই দেয়নি, দিয়েছে স্বাধীনতা, আত্মবিশ্বাস এবং নিজের দক্ষতাকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার প্ল্যাটফর্ম।"

তানভীর বর্তমানে নিজের ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংও চালিয়ে যাচ্ছেন। দিনে ৮–১০ ঘণ্টা কাজ করেও তিনি সময় বের করেন শেখার জন্য, নতুন কিছু এক্সপ্লোর করার জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার, ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস টুলস এবং এডিটিং প্ল্যাটফর্ম নিয়ে নিয়মিত কাজ করেন, যা তাঁকে আলাদা করে তুলেছে অনেকের চেয়ে।

তরুণদের প্রতি তাঁর বার্তা:“তুমি যদি সত্যিই নিজেকে বদলাতে চাও, তাহলে ইন্টারনেটই তোমার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। এক টাকাও খরচ না করেও তুমি নিজেকে গড়ে তুলতে পারো। ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন—সবই শেখা যায়, শুধু দরকার মনোযোগ আর ধারাবাহিকতা।”

তাঁর স্বপ্ন হলো ভবিষ্যতে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা, যেখানে তরুণরা একসাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজেরাই নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারবে।

তানভীর আহমেদ আলিফ এখন শুধু একজন প্রফেশনাল নন, বরং একজন আদর্শ।

তাঁর জীবন ও ক্যারিয়ার গড়ে ওঠার গল্প প্রমাণ করে, প্রতিকূলতা থাকলেও চেষ্টা থেমে থাকলে চলবে না। ডিজিটাল দুনিয়ার এই সাহসী তরুণ আগামীতে আরও বহু তরুণ-তরুণীর পথ দেখাবে, এমনটাই প্রত্যাশা।

এলাকার খবর

সম্পর্কিত