বেনাপোল স্থলবন্দরে জলাবদ্ধতায় ভাসছে কোটি কোটি টাকার পণ্য

ফোরকান জামান,শার্শা(যশোর)প্রতিনিধি:
বেনাপোল স্থলবন্দরে জলাবদ্ধতায় ভাসছে কোটি কোটি টাকার পণ্য ছবি: খবরপত্র
বেনাপোল স্থলবন্দরে জলাবদ্ধতায় ভাসছে কোটি কোটি টাকার পণ্য ছবি: খবরপত্র

বৈরী আবহাওয়ার কারণে টানা বৃষ্টিতে আবারও বেনাপোল স্থলবন্দরের বিভিন্ন সেড ও এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে কোটি কোটি টাকার পণ্য পানিতে ভাসছে।

১৪ জুলাই (সোমবার) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বেনাপোল বন্দরের ১৬ ও ১৭ নম্বর সেডসহ বিভিন্ন স্থানে পানি জমে গেছে। খোলা আকাশের নিচে রাখা বহু পণ্য পানিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদ আলী বলেন,"অল্প বৃষ্টিতেই বন্দরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না। ফলে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। আমাদের দাবি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।"

সাধারণ শ্রমিকরাও অভিযোগ করেন,"জীবিকার তাগিদে আমরা বন্দরে কাজ করি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ। একদিন বৃষ্টি হলে তিন দিন ধরে জলাবদ্ধতা থাকে। এতে আমরা অলস সময় পার করছি।"

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মামুন কবীর তরফদার জানান,"স্থায়ী সমাধান করতে হলে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে। আপাতত রেলওয়ে, কাস্টমস ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকেই নিজ নিজ উদ্যোগে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থায়ী প্রকল্প না হলে সমস্যার সমাধান হবে না।"

এর আগে গত ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে জলাবদ্ধতা নিরসনে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হচ্ছেন বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সদস্য হিসেবে রয়েছেন কাস্টম হাউস, স্থলবন্দর, রেলওয়ে, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নির্বাহী প্রকৌশলী।

তবে এখন পর্যন্ত এই কমিটি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে বন্দরের পণ্য ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শ্রমিক সবাই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

 

 

এলাকার খবর

সম্পর্কিত